11:40:18
21 août 2024
২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বক্তব্য দিতে গেলে প্রথমেই মনে রাখতে হবে, এই দিনটি বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায় হিসেবে স্মরণীয়। ১৯৫২ সালের এই দিনে, বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা জীবন বিলিয়ে দিয়েছিলেন। তাদের ত্যাগ ও সাহসিকতা আমাদের মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিল।
এই দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবেও পালন করা হয়, যা ইউনেস্কো ১৯৯৯ সালে ঘোষণা করে। এটি শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বিশ্বব্যাপী ভাষার বৈচিত্র্য এবং সাংস্কৃতিক পরিচয়ের সুরক্ষার প্রতীক হিসেবে পরিচিত।
২১ শে ফেব্রুয়ারির আন্দোলন শুরু হয়েছিল বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে। এই দাবির প্রতি সরকারের উদাসীনতা ও দমননীতি প্রতিবাদের আগুনকে জ্বালিয়ে তোলে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। পুলিশের গুলিতে শহীদ হন রফিক, শফিক, সালাম, বরকত সহ আরো অনেকেই। তাদের এই ত্যাগ আমাদের মাতৃভাষাকে রক্ষা করেছিল এবং নতুন প্রজন্মের কাছে বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রেরণা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিবছর ২১ শে ফেব্রুয়ারি আমরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে তাদের শ্রদ্ধা জানাই এবং ভাষা শহীদদের স্মরণে নীরবতা পালন করি। এই দিনটি আমাদেরকে ভাষার প্রতি সম্মান, মর্যাদা এবং ভালোবাসার শিক্ষা দেয়। আমাদের উচিত, এই দিনটির তাৎপর্য গভীরভাবে উপলব্ধি করা এবং ভাষা ও সংস্কৃতির সুরক্ষায় সদা সতর্ক থাকা।
সুতরাং, ২১ শে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বক্তব্য আমাদেরকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয় – ভাষা আমাদের পরিচয়ের একটি অপরিহার্য অংশ এবং এর জন্য জীবনদানও অসামান্য এক ত্যাগ।
1 Invité(s)